Tuesday, October 26

শিশুর ছড়া

মুখে যদি ময়লা থাকে
মুখ দেখতে বিশ্রী লাগে
মুখ করি তাই পরিষ্কার
সারাদিনে কয়েক বার ।।

আমি হব

আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম বাগে
উঠব আমি জাগি ।
সূয্যি মামা জাগার আগে
উঠব আমি জেগে
হয়নি সকাল ঘুমু এখন
মা বলবেন রেগে ।
বলব আমি আলসে মেয়ে
ঘুমায়ে তুমি থাক
হয়নি সকাল তাই বলেকি
সকাল হবে নাক
আমরা যদি না জাগি মা
কেমনে সকাল হবে
তোমার ছেলে উঠলে মাগো
রাত পোহাবে তবে ।।

Sunday, October 24

হাসি

হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই ?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই।
খোকন হাসে ফোঁকলা দাঁতে
চাঁদ হাসে তার সাথে সাথে
কাজল বিলে শাপলা হাসে
হাসে সবুজ ঘাস।
খলসে মাছের হাসি দেখে
হাসে পাতিহাঁস।
টিয়ে হাসে, রাঙ্গা ঠোঁটে,
ফিঙ্গের মুখেও হাসি ফোটে
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
হাসতে সবাই চায়
বোয়াল মাছের দেখলে হাসি
পিলে চমকে যায়।
এত হাসি দেখেও যারা
গোমড়া মুখে চায় ,
তাদের দেখে পেঁচার মুখেও
কেবল হাসি পায়।

চাষ

ষোল চাষে মুলা ,
তার অর্ধেক তুলা
চার চাষে ধান
বিনা চাযে পান ।।

ঘুম পাড়ানী মাসি পিসি

ঘুম পাড়ানী মাসি পিসি মোদের বাড়ী এসো
খাট নাই পালং নাই চোখ পেতে বস
বাটা ভরা পান দেব গাল ভরে খেয়ো
বিন্নি ধানের খই

খোকা যাবে শ্বশুড় বাড়ি

খোকা যাবে শ্বশুড় বাড়ি
সংগে যাবে কে
ঘরে আছে হুলো বেড়াল
কোমড় বেঁধেছে।

ঘুম পাড়ানী মাসি-পিসি

ঘুম পাড়ানী মাসি-পিসি
মোদের বাড়ি এসো
খাট নেই পালং নেই
চৌকি পেতে বসো

তাতী বাড়ি ব্যাঙ্গের বাসা

তাতী বাড়ি ব্যাঙ্গের বাসা
কোলা ব্যাঙ্গের ছা,
খায় দায়, গান গায়,
তাইরে নাইরে না।

মা

মা কথাটি ছোট্ট অতি
কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর
ত্রিভুবনে নাই।

কাজলা দিদি

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে
ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

Friday, October 22

খোকা নাচে খুকু নাচে

খোকা নাচে খুকু নাচে
নাচে কোলা ব্যাঙ ,
নাচতে গিয়ে ছাগল ছানার
ভেঙ্গে গেল ঠ্যাং ।

Tuesday, October 19

ফলের নাম

জাম  জামরুল কতেবেল
আতা কাঁঠাল নারকেল,
তাল তরমুজ আমরা
কামরাঁঙ্গা বেল পেয়ারা,
পেঁপে ডালিম জলপাই
বড়ই দিলাম, আর কি চাই ।।

খোকা ঘুমাল পাড়া জুরালো

খোকা ঘুমাল পাড়া জুরালো
বর্গি এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দিব কিসে
ধান ফুরাল পান ফুরাল
খাজনার ওপায় কি
আর কটা দিন সবুর কর
রসুন বুনেছি ।

খোকন খোকন ডাক পারি

খোকন খোকন ডাক পারি
খোকন মোদের কার বাড়ি
আয়রে খোকন ঘরে আয়
দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ।

খোকন খোকন ডাক পারি

খোকন খোকন ডাক পারি
খোকন মোদের কার বাড়ি
আয়রে খোকন ঘরে আয়
দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ।

Wednesday, October 13

আয় আয় চাঁদ মামা

আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা ।
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা ।